অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে দক্ষিণ এশীয় খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিত্ব এত কম কেন?

Colours of cricket episode one 16-9.jpg

Gurinder Sandhu, Alana King and Usman Khawaja Credit: Getty AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ক্রিকেট নিয়ে যে উন্মাদনা দেখা যায় তার সঙ্গে ধর্মীয় উন্মাদনারই তুলনা মেলে। অস্ট্রেলিয়ায় ক্লাব ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রেখেছে পাক-ভারত উপমহাদেশের অভিবাসীরাই। সে কারণে, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে দক্ষিণ এশীয় ক্রিকেটারদের উপস্থিতি কম কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়।


ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তথ্য অনুসারে, অস্ট্রেলিয়ায় নিবন্ধিত সব ক্লাব ক্রিকেটারের মাঝে ৩২ শতাংশই হয় বিদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন অথবা তারা অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনকারী বাবা-মায়ের সন্তান।

২০১৯ সালে ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়ার আরেকটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ান ক্লাব ক্রিকেটে জনপ্রিয় সারনেম বা পারিবারিক নামগুলোর তিনটির মধ্যে দু’টিই ভারতীয় নাম। সিং হলো অন্যতম জনপ্রিয় সারনেম। আর এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘প্যাটেল’। শীর্ষস্থানীয় ত্রিশটি সারনেমের তালিকায় আরও রয়েছে, কুমার, শর্মা এবং খান।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে একটি বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে পরিবর্তন আসতে বাধ্য করা হয়েছে।
প্যাট্রিক স্কিন, স্পোর্টস রাইটার
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের তৃণমূল পর্যায়ে এ রকম অবস্থা থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটারই অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান।

প্রায় ৪৭০ জন অস্ট্রেলিয়ান পুরুষ ক্রিকেটারের মাঝে মাত্র চার জন রয়েছেন দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত। আর, নারী ক্রিকেটে এই সংখ্যা আরও কম।

শুধুমাত্র সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, উসমান খাজা, লিসা স্টালেকার, এলানা কিং এবং গুরিন্দর সান্ধুর মতো খেলোয়াড়রা শীর্ষ পর্যায়ে স্থান করে নিয়েছেন।
শীর্ষ পর্যায়ে খেলে যাওয়াটা খুব সহজ কিছু ছিল না। আমাকে চোখে পড়ত সবার। আমি ছিলাম পাকিস্তানী, শ্বেতাঙ্গদের দেশে আমি বাদামী চামড়ার একজন মানুষ। এটা আমার জন্যে কখনও ভালো ব্যাপার হয়ে দাঁড়াত, কখনও মন্দ। আমি যখন খুব ভালো খেলতাম সেটা সবার চোখে পড়ত। আর যদি কোনও কারণে ভালো খেলতে না পারতাম, সেটাও সবার চোখে পড়ত।
উসমান খাজা, টেস্ট ক্রিকেটার
জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূতদের কী কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়? এক্ষেত্রে কি কোনো সিস্টেমেটিক বাধা রয়েছে? নাকি এটি পরিষ্কার কোনো পাথওয়ের অভাব? অর্থনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক দিক থেকেও কি কোনো প্রতিবন্ধকতা আছে? আর, বৈষম্য ও বর্ণবাদেরই বা কি কোনো ভূমিকা দেখা যায়?
আমি মনে করি সকল সংস্কৃতি, ধর্ম, বয়স, আকার এবং জেন্ডারের জন্য একটি ইনক্লুসিভ বা সামুদয়িক পরিবেশ তৈরির জন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং স্টেট বডিজ খুবই পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করছে। আশা করি, উচ্চ পর্যায়ে আমরা আরও বেশি উপমহাদেশীয় খেলোয়াড় দেখবো।
লিসা স্টালেকার, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক
কালার্স অফ ক্রিকেটের প্রথম পর্বটি শুনুন। এতে রয়েছেন উসমান খাজা, লিসা স্টালেকার, গুরিন্দর সান্ধু, অর্জুন নাইর, কোচ গনেশ মিলভাগানাম এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। শোনার পর, আমাদের কুইজে অংশ নিন এবং যাচাই করুন আপনার ক্রিকেট-জ্ঞান।

ভাষান্তর: সিকদার তাহের আহমদ

কালার্স অফ ক্রিকেট:
কালার্স অফ ক্রিকেট:
কালার্স অফ ক্রিকেট:
Follow in the SBS Radio app or in your favourite podcast app such as Spotify or Apple Podcasts. New episodes in this eight-part series will be released each week.

Hosts: Preeti Jabbal and Kulasegaram Sanchayan
Lead Producer: Deeju Sivadas
Producers: Sahil Makkar, Vatsal Patel, Abhas Parajuli
Sound Design: Max Gosford
Program Manager: Manpreet Kaur Singh
Advisor: Patrick Skene

Colours of Cricket is a collaborative project from SBS Radio's South Asian language programs; SBS Bangla, SBS Gujarati, SBS Hindi, SBS Malayalam, SBS Nepali, SBS Punjabi, SBS Sinhala, SBS Tamil, and SBS Urdu.

Share