দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীরা কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের রূপ পাল্টে দিচ্ছে?

Launceston Nepali Cricket Club

Launceston Nepali Cricket Club members with Bridgett Archer, Federal Member for Bass in Tasmania. Credit: Provided

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক জনশুমারিতে দেখা যায়, ভারত এবং দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো থেকে ব্যাপক সংখ্যক অভিবাসী অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন। এসব অভিবাসীদের মধ্য থেকে অনেকেই এসেছেন ক্রিকেটের মাধ্যমে নতুন পরিচয় এবং কমিউনিটি গড়ার আশা নিয়ে। কালার্স অফ ক্রিকেটের এই দ্বিতীয় পর্বটিতে আমরা সন্ধান করেছি ক্রমবর্ধমান এই জনগোষ্ঠীগুলো কীভাবে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট-পঞ্জিকার পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে এবং এই খেলাটিতেই বা এসবের কী রকম প্রভাব পড়ছে।


অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে।

বিগত শতকের পর নতুন শতাব্দীর সন্ধিক্ষণ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ ও এর প্রতিনিধিত্ব করেছে প্রধানত ইওরোপীয় সেটলারগণ।

বিশ্বকাপ বিজয়ী ভারতীয় সাবেক অধিনায়ক কপিল দেব স্মরণ করেন যে, ৪০ বছর আগে যখন তিনি প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় সফরে আসেন, তখন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলে স্থানীয়ভাবে জন্ম-নেওয়া শেতাঙ্গদের আধিক্য ছিল।

টেস্ট এবং ওয়ান-ডে ক্রিকেটার লেন পাসকো সম্পর্কে কালার্স অফ ক্রিকেটকে তিনি বলেন,

“তখনকার কথা আমার মনে আছে। অস্ট্রেলিয়া দলে পাসকো ছিল একমাত্র অভিবাসী খেলোয়াড়।”
বিগত ১০ কিংবা ১৫ বছরে আমি বহুল সংখ্যক ভারতীয়, পাকিস্তানী এবং শ্রী লঙ্কান খেলোয়াড় দেখেছি। তারা এসেছে এবং অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খেলেছে এবং সেজন্য গর্ববোধ করেছে ... আপনার যদি সেই দেশটির পাসপোর্ট থাকে, তাহলে আপনি সেই দেশটির পক্ষে খেলার অধিকার রাখেন।
কপিল দেব
অস্ট্রেলিয়ার ডাকসাইটে ক্রিকেট সাংবাদিক এবং লেখকদের মধ্যে অন্যতম, গিডিওন হেই প্রায় চার দশক ধরে ক্রিকেট নিয়ে লিখছেন। তিনিও কপিল দেবের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।

গিডিওন নিজেও একজন নিবেদিতপ্রাণ ক্লাব-ক্রিকেটার। কালার্স অফ ক্রিকেটকে তিনি বলেন, আজকাল যে-কোনো মেট্রোপলিটান ক্রিকেট ক্লাবেই অভিবাসীদের দেখা পাওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়।

দক্ষিণ এশীয় ক্লাব ক্রিকেটারদের সম্পর্কে তিনি বলেন, “শনি এবং রবিবারগুলোতে এই খেলাটি ধরে রাখার বিষয়টি যখন আসে, তখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, আপনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়রা তারাই, যারা কোনো-না-কোনোভাবে ক্রিকেট-পাগল।”

“এটি (ক্রিকেট) বৃহত্তর অস্ট্রেলীয় সমাজে আত্তীকরণের একটি পদ্ধতি। তাই, আমি মনে করি যে, এই বিষয়টি কখনও কখনও অবমূল্যায়ন করা হয় এখানে।”

দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের অনেকের কাছেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য সহজ পন্থা হলো ক্রিকেট। ক্রিকেট পিচেই তারা তাদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদেরকে পায়।

এ রকম একজন অভিবাসী ক্রিকেটার বৈভব দেশপাণ্ডে। ভিক্টোরিয়ায় ক্লাব পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেন তিনি এবং তার ক্লাবের অধিনায়কও তিনি।

বৈভব দেশপাণ্ডে বলেন, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি যখন প্রথম অস্ট্রেলিয়ায় আসেন, তখন এখানে তার কোনো পরিবার ছিল না।

সেইন্ট ব্রিজিড-এর সেইন্ট লুই ক্রিকেট ক্লাবের একজন সতীর্থ সদস্য যখন তাকে একটি ক্রিসমাস লাঞ্চে আমন্ত্রণ জানায় তখন তিনি খুবই আনন্দিত হন।

এ সম্পর্কে আরও শুনুন কালার্স অফ ক্রিকেটের দ্বিতীয় পর্বটিতে। সেজন্য ক্লিক করুন উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে।

কালার্স অফ ক্রিকেট:
কালার্স অফ ক্রিকেট: 
কালার্স অফ ক্রিকেট:

ভাষান্তর: সিকদার তাহের আহমদ

Hear more in this second episode of .

If you missed the , go back to the beginning of the series to hear about the issue of under-representation and what pathways are available to support South Asian players keen to rise through the ranks of Australian cricket.

Follow Colours of Cricket in the SBS Radio app or in your favourite podcast app such as or . New episodes in this eight-part series are released each Monday.

Hosts: Preeti Jabbal and Kulasegaram Sanchayan
Lead Producer: Deeju Sivadas
Producers: Sahil Makkar, Vatsal Patel, Abhas Parajuli
Sound Design: Max Gosford
Program Manager: Manpreet Kaur Singh
Advisor: Patrick Skene

Colours of Cricket is a collaborative project from SBS Radio's South Asian language programs; SBS Bangla, SBS Gujarati, SBS Hindi, SBS Malayalam, SBS Nepali, SBS Punjabi, SBS Sinhala, SBS Tamil, and SBS Urdu.

Share