ইন্টারনেট গেমিং ডিজঅর্ডার: গবেষকরা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তিন শতাংশ টিনেজার

Too much video gaming can lead to behavioural issues.

Too much video gaming can lead to behavioural issues. Source: SBS

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

ভিডিও গেম নিয়ে অতিরিক্ত মজে গেলে গুরুতর আচরণগত সমস্য দেখা দিতে পারে। শিশুরা স্কুল যাওয়া কমিয়ে দিতে পারে এবং আগ্রাসী আচরণ করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ান নতুন একটি গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। সিডনির ম্যাকোয়েরি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দেখতে পান যে, টিনেজারদের তিন শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ইন্টারনেট গেমিং ডিজঅর্ডারের কারণে।


এই তো কিছু দিন আগে, নিউ সাউথ ওয়েলসে স্কুল হলিডেজ এর শেষ দিনে, স্কুলগামী শিশুরা ভীড় জমিয়েছিল শপিংমলগুলোতে, তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে। স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবেই হয়তো বা তারা কেনাকাটা করছিলেন।

কিন্তু, তাদের মধ্যে অনেক শিশুই ঘরে ফিরে গিয়ে অনলাইন গেমে বসার জন্য ছটফট করছিল।

পোকেমন গেম খেলতে পছন্দ করে আট বছর বয়সী লিহ লুই। সে বলে, এই খেলা ছেড়ে উঠে আসাটা কখনও কখনও খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
সে একাই নয়। সন্তানের স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে অনেক বাবা-মা-ই জানেন।

দু’সন্তানের পিতা ম্যাক্স রবার্টস বলেন, কখনও কখনও এটি তাদের জন্য নেশার মতো হয়ে যায়।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গেমিং ক্ষতিকর নয়। তবে, শিশু সন্তানদের যদি কমে যায়, স্কুল কিংবা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান ও ওঠাবসায় অংশ নেওয়া কমিয়ে দেয়, তাহলে এ বিষয়টি গুরুতর কিছুর ইঙ্গিত দেয়।

নিউ সাউথ ওয়েলসের স্কুলগুলো থেকে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণীর ৯০০ শিক্ষার্থীর ওপরে সমীক্ষা চালায় ম্যাকোয়েরি ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ।

তারা দেখতে পান যে, ১৫ জন ছাত্র এবং ৯ জন ছাত্রীর মাঝে ইন্টারনেট গেমিং ডিজঅর্ডার সনাক্ত করা গেছে।

সমীক্ষাকৃত শিক্ষার্থীদের মাঝে যা প্রায় তিন শতাংশ।

চাইল্ড সাইকোলজিস্ট এবং পিএইচডি ক্যান্ডিডেট ব্রাড মার্শাল বলেন, আন্তর্জাতিক সমীক্ষার সঙ্গে এই সংখ্যা সঙ্গতিপূর্ণ।

সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, যেসব শিশু-কিশোরদের মাঝে গেমিং ডিজঅর্ডার আছে, তাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের সাদৃশ্য রয়েছে; যেমন, আবেগপ্রবণতা, কম-আত্মবিশ্বাস কিংবা পারিবারিক গোলযোগ।

তবে, গবেষকরা বলছেন, এসব সমস্যা নিরসন করা সম্ভব।

ডিজিটাল গেমিং কাউন্সেলর লিওনি স্মিথ বলেন, শিশুরা যদি গেম খেলার জন্য মাঝ রাতে উঠে যায়, সেক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন হতে পারে।

তবে, যারা এসব গেমিংয়ের পক্ষে মত দেন, তারা বলেন, গেমিংয়ের কিছু উপকারিতাও রয়েছে। যেমন, ফাস্টার রিফ্লেক্স বা অধিকতর দ্রুত গতিতে প্রতিবর্তী ক্রিয়া প্রদর্শনের ক্ষমতা এবং সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি।

মেলবোর্ন গেমিং সেন্টার ফোরট্রেস থেকে অনলাইনে গেম খেলেন জ্যাক। তিনি বলেন, অনলাইনে গেম খেলার সুবাদে বহু লোকের সাথে তার যোগাযোগ হয়। এভাবে তার সামাজিক দক্ষতা বাড়ছে।

অন্যান্য সকল বিষয়ের মতো এক্ষেত্রেও ভারসাম্য রক্ষা করে চলার প্রতি জোর দেন বিশেষজ্ঞরা।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share