অস্ট্রেলিয়ায় শরীয়া-সম্মত ইসলামী বন্ড মার্কেট চালু করার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা

Dr Abdul Aziz Hayat Muhammad and Dr Sohel Azad - the Department of Finance in Deakin Business School.

Dr Abdul Aziz Hayat Muhammad and Dr Sohel Azad - the Department of Finance in Deakin Business School. Source: SBS

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

ইসলামিক ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চাভিলাষী রিনিউয়েবল এনার্জি প্রজেক্ট বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি-প্রকল্পগুলোতে অর্থায়নে, ফেডারাল সরকারের উচিত মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিনিয়োগ গ্রহণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শরীয়া-সম্মত ইসলামী বন্ড মার্কেটের দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়াকেও এগিয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।


একজন ইসলামী ফাইন্যান্স বিশেষজ্ঞ বলেন, বিনিয়োগের এই বাজারটির মূল্যমান কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার এবং এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় এটি অব্যবহৃতই রয়ে গেছে।

সুহুক (Suhuk) নামের একটি শরীয়া-সম্মত ইসলামী বন্ড মার্কেট চালু করা হয় মধ্যপ্রাচ্যে। গত দশকে এটি দ্রুতগতিতে ইওরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়ে।
তবে, এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারে নি, বলেন ডেকিন ইউনিভার্সিটির ইসলামিক ফাইন্যান্স এক্সপার্ট ড. সোহেল আজাদ।

অ্যাসেট অ্যাপ্রিসিয়েশন-এর সঙ্গে সংযুক্ত পেমেন্ট স্ট্রিমের মাধ্যমে অ্যাসেট ওউনারশিপের বিষয়টি সুহুকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এটি গতানুগতিক বন্ডের মতো নয়, যেখানে ইন্টারেস্ট-বিয়ারিং ঋণের বাধ্য-বাধকতার মাধ্যমে আয় করা হয়।

মিস্টার আজাদ বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে একটি সুহুক বন্ড মার্কেট চালু করার জন্য আইনী পরিবর্তন আনয়ন করতে হবে।

মদ, সিগারেট, জুয়া এবং অন্যান্য হারাম পণ্যের ক্ষেত্রে বন্ড বিনিয়োগ করাটা যেখানে নিষিদ্ধ, সেখানে শরীয়া-সম্মত মার্কেটে, যেমন, রিনিউয়েবল এনার্জি খাতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রচুর উৎসাহ ও সহায়তা লক্ষ করা গেছে।

টেকসই অবকাঠামোর ক্ষেত্রে অর্থায়নের উদ্দেশ্যে মালয়শিয়া ২০১৭ সালে প্রথম গ্রিন সুহুক বন্ড চালু করে।

প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থোনি অ্যালবানিজির মাল্টি-বিলিয়ন ডলারের ক্লাইমেট চেঞ্জ প্লানস বা জলবায়ু পরিবর্তন পরিকল্পনার অর্থায়নের জন্য, মিস্টার আজাদ বলেন, অস্ট্রেলিয়াও মালয়শিয়ার মতো সে রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।

অস্ট্রেলিয়ায় যেখানে ইসলামী ফাইন্যান্স-এর ধারণাটি একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, সেখানে মালয়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং এবং জাপানের মতো দেশগুলোতে শরীয়া-সম্মত ব্যাংকিং এবং বিনিয়োগ দ্রুতগতিতে বিকশিত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইসলামী ব্যাংকের সি-ই-ও ডিন গিলেস্পি বলেন, এক্ষেত্রে কোনো ‘যদি’র সুযোগ নেই, অস্ট্রেলিয়া কখন এটি শুরু করবে সেটাই বিষয়।

মাত্র কিছু দিন আগে রেগুলেটরি অথরাইজেশন পেয়েছে ইসলামিক ব্যাংক অস্ট্রেলিয়া। এখন পর্যন্ত এটি জন-সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় নি। মিস্টার গিলেস্পি বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন পটভূমি থেকে আসা ১০,০০০ কাস্টোমার বা ভোক্তা তাদের অপেক্ষমান তালিকায় রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য এটি একটি সন্তোষজনক বিজয়, বলেন তিনি।

পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share