আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা আগামী জুলাই মাসেই অস্ট্রেলিয়ায় ফিরতে পারে

Australian Prime Minister Scott Morrison arrives to speak to the media during a press conference at Parliament House in Canberra, Friday, June 12, 2020. (AAP Image/Lukas Coch) NO ARCHIVING

Australian Prime Minister Scott Morrison arrives to speak to the media during a press conference at Parliament House in Canberra, Friday, June 12, 2020. Source: AAP

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

পরীক্ষামূলকভাবে কিছু সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে স্টেট ও টেরিটোরিগুলোর সঙ্গে ফেডারাল সরকার কাজ করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় ফেরা নিয়ে প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারের লিংকটিতে ক্লিক করুন।


কিছু সংখ্যক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে আগামী জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে স্টেট, টেরিটোরি ও প্রতিষ্ঠানগুলো।প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, এই ব্যবস্থাপনার এখনও চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হয় নি।তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়া পুনরায় উন্মুক্ত করা যাবে না, যদি অভন্তরীণ সীমান্তগুলো বন্ধ থাকে

অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সতর্ক করে দিয়ে বলেছে যে, কোভিড-১৯ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলোর কারণে আগামী চার বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন অফ অস্ট্রেলিয়ার চিফ একজিকিউটিভ ফিল হানিউড এই পরিকল্পনার ঘোষণাকে স্বাগত জানান। তবে তিনি বলেন, এই পরিকল্পনার সাফল্য মূলত নির্ভর করবে অন্যান্য রাজ্যগুলো কীভাবে এতে সাড়া দেয় তার উপরে

অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ করার বিষয়ে সাউথ অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা করেছে যে, ২০ জুলাই নাগাদ তাদের আন্তঃরাজ্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে।
নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া এবং এসিটি-তে কোনো অভ্যন্তরীণ সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা নেই।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার স্টিভেন মার্শাল বলেন, আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আরও ঘোষণা করা হবে।

১০ জুলাই অভ্যন্তরীণ সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কুইন্সল্যান্ড। তাসমানিয়াও তাদের আন্তঃরাজ্য সীমান্ত জুলাই মাসে খুলে দিবে। তবে, তারা কোনো তারিখ এখনও বলে নি। তাসমানিয়ার প্রিমিয়ার পিটার গুটওয়েন বলেন, অন্যান্য রাজ্যে কী হচ্ছে তা দেখে এই তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

ন্যাশনাল কেবিনেট সম্মত হয়েছে যে, যে-সব স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণ-ক্ষমতা ৪০,০০০ এর কম, সেগুলো ১০,০০০ দর্শক নিয়ে জুলাই মাসে পুনরায় চালু করা যাবে। এসব ভেন্যুতে টিকিটের মাধ্যমে দর্শক আনা যাবে এবং তাদের জন্য যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে।

ইনডোর ভেন্যুগুলোতে ১০০ জন উপস্থিতির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। উপস্থিতি সংখ্যা নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। তবে, প্রতি ৪ বর্গমিটারে এক জন অবস্থান করার নিয়ম মানতে হবে।

বিয়ে-শাদী এবং অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ক্ষেত্রে উপস্থিতির সংখ্যাও ভেন্যুর আকারের উপরে নির্ভর করবে।

নাইটক্লাবগুলো এখনও বন্ধ থাকবে।

আগামী জুলাই মাস থেকে স্টেডিয়ামগুলোতে ১০ হাজার পর্যন্ত দর্শক একত্রিত হওয়ার অনুমতি দেওয়া হলেও, জনগণকে রাস্তায় প্রতিবাদ সভাগুলোতে উপস্থিত না হতে ফেডারাল সরকার ক্রমাগতভাবে নিষেধ করছে।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বার বার সতর্ক করে বলছেন, এ ধরনের মিছিলে যারা যোগ দেবেন তারা স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ব্রেন্ডান মারফি বলেন, প্রতিবাদকারীদেরকে ফেস মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হলেও এর ফলে বহু লোকের মাঝে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

আপনার ভাষায় করোনাভাইরাসের আপডেট পেতে sbs.com.au/coronavirus ভিজিট করুন।

 


Share