পার্লামেন্ট হাউজ কতটা সেক্সিজম বা লিঙ্গ-সংকীর্ণতা মুক্ত, কি বলছেন নারী রাজনীতিবিদেরা?

Edith Cowan

The first woman to be elected to an Australian Parliament, Edith Cowan, appears on the $50 note. Source: Getty

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

সেক্সিজম বা লিঙ্গ-সংকীর্ণতা সমস্যা সমাজে এখনো প্রকট, অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট হাউজও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রাক্তন লিবারেল কর্মী ব্রিটনি হিগিন্সের ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পার্লামেন্ট হাউজ এবং রাজনীতির অভ্যন্তরে সেক্সিজম নিয়ে প্রশ্নে ওঠেছে।


৮ মার্চ আন্তর্জাতিক মহিলা দিবসে, রাজনৈতিক বিভাজন সত্ত্বেও নারীরা সেই বিষাক্ত সংস্কৃতি এবং কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের জন্য পরিবেশের উন্নতির জন্য কী হওয়া দরকার তা নিয়ে কথা বলেছেন।


গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো

  • যে কোন সময়ের চেয়ে এখন রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বেশি প্রয়োজন।
  • প্রতিকূলতার সময়েও মানসিক শক্তি ধরে রাখতে হবে।
  • বেশিরভাগ কর্মক্ষেত্রে এখনও সেক্সিজম বা লিঙ্গ সংকীর্ণতা আছে প্রবলভাবে।
তারা বলছেন যে কোন সময়ের চেয়ে এখন রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বেশি প্রয়োজন।  

জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নারী জনপ্রতিনিধি এ নিয়ে কথা বলেছেন এসবিএস নিউজের সাথে। 

তারা হচ্ছেন জেন ​​হিউম, ভিক্টোরিয়া থেকে লিবারেল সেনেটর, লেবার পার্টি থেকে সিডনির ফেডারেল পার্লামেন্ট সদস্য তানিয়া প্লাইবার্সেক, ইন্ডিজিনাস কমিউনিটি থেকে গ্রিন্স পার্টির সেনেটর লিডিয়া থর্প, হেলেন হেইনেস স্বতন্ত্র ফেডারেল পার্লামেন্ট সদস্য।
স্বতন্ত্র ফেডারেল পার্লামেন্ট সদস্য মিজ হেইনস বলেছেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীটি তার মা।

তিনি বলেন, "আমি তার সম্পর্কে প্রতিদিন ভাবি I আমি চার ভাইয়ের সাথে একটি ছোট খামারে বড় হয়েছি এবং এটি শহর থেকে অনেক দূরে।" 

মিজ প্লাইবারসেক বলেন "বেশিরভাগ লোকের মতো আমি সবসময় বলতাম যে আমার মা আমার জীবনের সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলা, কিন্তু এখন দেখছি আমার মেয়েই আমাকে পথ বাতলে দিচ্ছে এবং প্রতিদিন অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।" 

মিজ থর্প তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, "আমার জীবনের সর্বাধিক প্রভাবশালী মহিলারা হলেন আমার পরিবারের নারীরা যারা প্রতিরোধ করে বেঁচে ছিলেন এবং যাদের কারণে আমরা আজও এদেশের মানুষ হিসেবে বেঁচে আছি।"

মিজ প্লাইবারসেক বলেন, তিনি তার ১২ বছরের নিজ ব্যক্তিত্বকে যে পরামর্শটি দিয়েছেন তা হলো, অন্যের প্রতি দয়াবান হও, আমার সন্তানদেরও তাই বলি। আমার মনে হয় দয়াবান হওয়াকে মানুষ কম মূল্য দেয়। 

মিজ হিউম বলেছেন যে তিনি এক্ষেত্রে সততার বার্তা দেবেন।

তিনি বলেন, আমি আমার ১২ বছর নিজ ব্যক্তিত্বকে নিজের চলার পথে প্রতিটি পর্যায়ে সত্য থাকতে বলি, আপনি কোন বিষয়ে যদি সৎ না হন তাহলে কোন লাভ নেই।
মিজ থর্পের পরামর্শ প্রতিকূলতার সময়েও মানসিক শক্তি ধরে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, গর্বের সাথে ঋজু হয়ে দাঁড়ান এবং বর্ণবাদ আপনাকে যাতে হারাতে না পারে এবং এটিকে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার শক্তি হিসাবে ব্যবহার করুন। 

নিঃসন্দেহে এই জীবনের পাঠগুলো তারা সময়ের সাথে সাথে শিখেছেন, এই নারীরা তাদের পেশাগত জীবনে সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নিজেদের জন্য প্রস্তুত করেছেন। 

প্রাক্তন লিবারেল স্টাফ ব্রিটনি হিগিন্সের ধর্ষণের অভিযোগের পরে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বিশেষ করে সেক্সিজম সম্পর্কে আলোচনাটি প্রাধান্য পেয়েছে।

মিজ হিউম বেশিরভাগ মহিলার মতোই বলেছেন, অবশ্যই তিনি তার কর্মক্ষেত্রে সেক্সিজম বা লিঙ্গ সংকীর্ণতা সমস্যা মোকাবেলা করেছেন।

মিজ হেইনস বলেছেন, সংসদ একটি যথেষ্ট পুরুষতান্ত্রিক কর্মক্ষেত্র।

তিনি বলেন, পার্লামেন্টে লিঙ্গ সংকীর্নতা নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা হলো, এটি একটি খুব পুরুষ অধ্যূষিত জায়গা, বেশ পুরুষতান্ত্রিক জায়গা। আমি এখানে সেক্সিজমের অভিজ্ঞতা পেয়েছি। 

মিজ প্লাইবারসেক এবং মিসেস থর্প বলেন যে নারীরা যত সংহত হবে, তত ভাল।

মিজ প্লাইবারসেক বলেন, আমি ক্যানবেরায় প্রচুর সেক্সিজম দেখেছি, আমি মনে করি 

এবং আমি যখনই দেখি তখনি এটি ধরিয়ে দেই। 

মিজ থর্প বলেন, এই বিষয়ে সংহতি প্রকাশ করে এক হয়ে দাঁড়ানো উচিত, এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া এবং এটি চিহ্নিত করা উচিত। কারণ আমরা যদি চুপ করে থাকি তবে তা অবিরত চলতে থাকবে। 

এই চ্যালেঞ্জগুলোর পরেও তারা বলেছেন যে তারা নারীদের রাজনীতিতে আসতে উৎসাহিত করবেন।

পুরো প্রতিবেদনটি বাংলায় শুনতে ওপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন 

আরও দেখুনঃ



 


Share