মানব মস্তিষ্ক তরঙ্গের মাধ্যমে রোবোটকে নির্দেশ দানের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বাংলাদেশি গবেষকের সাফল্য

Faisal 2.jpg

Dr. Shaikh Nayeem Faisal successfully developed a non-invasive headset with micro-patterned graphene sensors that can transmit the brain signal to an external robotics device to control without voice command or using hands.

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

ড. শেখ নাঈম ফয়সাল ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, সিডনির রিসার্চ ফেলো হিসাবে অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ইনোভেশন হাব-এর একটি প্রকল্পে সফলভাবে মাইক্রো-প্যাটার্নযুক্ত গ্রাফিন সেন্সর সহ একটি নন-ইনভ্যাসিভ হেডসেট তৈরি করেছিলেন যা ভয়েস কমান্ড বা হাত ব্যবহার না করে রোবোটিক্স ডিভাইসে মস্তিষ্কের সংকেত প্রেরণ করতে পারে। প্রকল্পটি অস্ট্রেলিয়ান প্রতিরক্ষা বাহিনীতে এবং অ্যাডিলেডের চিফ অফ আর্মি সিম্পোজিয়াম, ২০২২-এ প্রদর্শিত হয়েছিল। তিনি এ বিষয়ে কথা বলেছেন এসবিএস বাংলার সাথে।


ড. শেখ নাঈম ফয়সাল বর্তমানে নিউরাল ইমপ্লান্ট (বা বায়োনিক আই) এর পাশাপাশি ব্রেন-রোবট ইন্টারফেসের জন্য ইলেক্ট্রোড এবং ডিভাইস তৈরির কাজে  সিডনি ইউনিভার্সিটিতে সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসাবে কাজ করছেন।

তিনি একই  ইউনিভার্সিটির কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োমোলিকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছেন।

তার গবেষণা সম্পর্কে ড. শেখ নাঈম ফয়সাল বলেন, "অস্ট্রেলিয়ান ডিফেন্স ইনোভেশন হাব একটা প্রজেক্টে এমন একটা ডিভাইস চাচ্ছিলো যেটা দিয়ে হ্যান্ডস ফ্রী বা ভয়েস কম্যান্ড ফ্রী ব্রেইন সিগন্যাল দিয়ে কোন রোবোটিক ওয়েপন বা কার্ট কন্ট্রোল করা যায়।"

"তারই অংশ হিসেবে আমরা ইইজি টেকনিক ব্যবহার করি যেটা হাসপাতালে ব্যবহার করা হয়, এর মাধ্যমে ব্রেইনের সিগনালগুলো নির্ণয় করা যায়, এই টেকনিক ডিমেনশা বা এপিলেপসি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।"

"আমরা সেই ইইজি টেকনিক ব্যবহার করে ব্রেইনের সিগন্যালটি রোবোটিক ডিভাইস বা কম্পিউটারে প্রেরণ করে তার মাধ্যমে মাইন্ড রীডিং বা থট রীডিংয়ের মাধ্যমে রোবটকে নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করি," বলেন তিনি।  

ড. ফয়সাল বলেন, তারা এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকল্পটিতে সফলভাবে মাইক্রো-প্যাটার্নযুক্ত গ্রাফিন সেন্সর সহ একটি নন-ইনভ্যাসিভ হেডসেট তৈরি করেছিলেন।
Faisal 1.jpg
Dr. Shaikh Nayeem Faisal is currently working as a Sr. Research Fellow at University of Sydney. Credit: Dr. Shaikh Nayeem Faisal
যদিও প্রযুক্তিটি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রকল্পের জন্য তৈরী, তবে এর প্রকৃত ব্যবহার ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের জন্য, বিশেষ করে যারা শারীরিকভাবে দৈনিন্দিন কাজ করতে অক্ষম।

এই প্রযুক্তিটি এখনো গবেষণার পর্যায়ে আছে এবং এর দ্রুত বিকাশ ঘটছে, তবে প্রকৃত সুফল পেতে আরো বেশ কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানান ড. ফয়সাল।

এই প্রযুক্তিতে আর্টিফিসিয়াল টেকনোলজির ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, এআই প্রযুক্তি বড় ডাটা বিশ্লেষ করে মানুষের মুভমেন্টের প্যাটার্ন অনুসরণ করে। তাই এখানে নয়েজ ফিল্টারিং করে এমন অনেক ডাটা সেট করে কোডিং করা হয়েছে যাতে বিশেষ নির্দেশটা অনুসরণ করা হয়।

এছাড়াও ড. ফয়সাল ইউনিভার্সিটি অফ সিডনিতে বায়োনিক আই প্রকল্প নিয়ে কাজ করছেন, এটি এমন একটি ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস যার মাধ্যমে এমনকি জন্মান্ধ ব্যক্তিরাও দেখতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রযুক্তিটির সাথে যুক্ত আছে বিখ্যাত কোম্পানী ককলিয়ার, যারা হিয়ারিং ইমপ্ল্যান্টসহ নানা ধরণের মেডিক্যাল ডিভাইস তৈরী করে।

ড. শেখ নাঈম ফয়সালের পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা অডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত।

রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 







Share