ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষায় নাগরিকত্ব পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকা উচিত বলে সুপারিশ করেছে রিভিউ প্যানেল

AUSTRALIA-IMMIGRATION-VISA

Pedestrians walk along a street in the central business district of Sydney on April 19, 2017. Australia's controversial decision to scrap a visa programme for temporary foreign workers got a mixed response on April 19, with critics slamming it as spin over substance and pandering to anti-immigration rhetoric. / AFP PHOTO / PETER PARKS (Photo credit should read PETER PARKS/AFP/Getty Images) Source: SBS / PETER PARKS/AFP/Getty Images

Get the SBS Audio app

Other ways to listen

প্রায় অর্ধ-শতাব্দী আগে অস্ট্রেলিয়ানদের একটি ক্রমবর্ধমান বহুসাংস্কৃতিক পরিচয় গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন লেবার দলের মন্ত্রী অ্যাল গ্রাজবি। সম্প্রতি একটি বিস্তৃত পর্যালোচনার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার বহুসংস্কৃতির সমাজের প্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরিচালিত এই ধরণের রিভিউয়ের মধ্যে এটিই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পর্যালোচনা বলে জানা গেছে।


ওয়েস্টার্ন সিডনির একটি শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ক্লাসের জন্যে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা করে দেখা গেছে, তারা অস্ট্রেলিয়ার সমসাময়িক জনসংখ্যার কমপক্ষে ৩০০ টিরও বেশি অ্যান্সেসট্রি বা বংশক্রমের অংশ।

অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে সফল মাল্টিকালচারাল সমাজগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইংরেজি ভাষা শেখানোর এই ছোট সংগঠনগুলোই সেই সাফল্যে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
অমিতা জ্যোতি সিডওয়েস্ট মাল্টিকালচারাল সার্ভিসেসের ইংরেজি ভাষার একজন শিক্ষিকা।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞানের মাত্রা একেক রকম হয় বলে, প্রত্যেকের জন্যে আলাদাভাবে মনোযোগ দেওয়া হয়।

সম্প্রতি এ-দেশে সরকারের সকল স্তরের নীতিকে ‘খণ্ডিত’ হিসাবে বর্ণনা করে তা হালনাগাদ এবং উন্নত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ড. হ্যাস ডেলাল অস্ট্রেলিয়ান মাল্টিকালচারাল ফাউন্ডেশনের পরিচালক এবং রিভিউ প্যানেলের সভাপতি।

তিনি বলেন,
অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গড়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।

সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সিটিজেনশিপ টেস্ট পদ্ধতিতে ইংরেজি ছাড়াও আরও কয়েকটি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা।

মাইগ্রেশন অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তারানেহ আরিয়েনফা বলেছেন যে, নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া এমনিতেই অনেক দীর্ঘ, সেই সাথে ভাষা বিষয়ক বাধ্যবাধকতা সেটিকে আরও জটিল করে তোলে।

রিভিউ প্যানেলটি অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ভ্রমণ করে ১৪০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি এবং ৭৫০টি সংস্থার সাথে পরামর্শ করে পর্যালোচনার জন্যে তথ্য সংগ্রহ করেছে।

সিটিজেনশিপ পরীক্ষা পদ্ধতি হালনাগাদ করা ছাড়াও

তাদের আরেকটি সুপারিশ হচ্ছে, একটি মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স কমিশন এবং কমিশনার প্রতিষ্ঠা করা, পাশাপাশি মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপ নামে স্বতন্ত্র একটি মন্ত্রনালয় তৈরি, যার জন্যে থাকবেন আলাদা একজন মন্ত্রী।
এক বিবৃতিতে ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, সরকার ‘কমনওয়েলথের সব সংস্থা ও কার্যক্রম জুড়ে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে এই রিভিউয়ের পরামর্শমতন পরিবর্তন আনার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।‘

সরকার , কিন্তু তারা এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ গ্রহণ করেনি, এমনটা জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু ইয়াকুবোভিচ।

এই রিভিউটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অস্ট্রেলিয়ার মত এমন একটি সমাজ যা অনেকগুলো স্বতন্ত্র সংস্কৃতির সমন্বয়ে গঠিত, এখানে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই, বরং আরও অনেক কাজ করা বাকি।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারে ক্লিক করুন

Share