ওয়েস্টার্ন সিডনির একটি শ্রেণিকক্ষে ইংরেজি ক্লাসের জন্যে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা করে দেখা গেছে, তারা অস্ট্রেলিয়ার সমসাময়িক জনসংখ্যার কমপক্ষে ৩০০ টিরও বেশি অ্যান্সেসট্রি বা বংশক্রমের অংশ।
অস্ট্রেলিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে সফল মাল্টিকালচারাল সমাজগুলোর মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইংরেজি ভাষা শেখানোর এই ছোট সংগঠনগুলোই সেই সাফল্যে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে।
অমিতা জ্যোতি সিডওয়েস্ট মাল্টিকালচারাল সার্ভিসেসের ইংরেজি ভাষার একজন শিক্ষিকা।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞানের মাত্রা একেক রকম হয় বলে, প্রত্যেকের জন্যে আলাদাভাবে মনোযোগ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি এ-দেশে সরকারের সকল স্তরের নীতিকে ‘খণ্ডিত’ হিসাবে বর্ণনা করে তা হালনাগাদ এবং উন্নত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ড. হ্যাস ডেলাল অস্ট্রেলিয়ান মাল্টিকালচারাল ফাউন্ডেশনের পরিচালক এবং রিভিউ প্যানেলের সভাপতি।
তিনি বলেন,
অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ গড়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
সুপারিশগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, সিটিজেনশিপ টেস্ট পদ্ধতিতে ইংরেজি ছাড়াও আরও কয়েকটি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করা।
মাইগ্রেশন অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর তারানেহ আরিয়েনফা বলেছেন যে, নাগরিকত্ব পাওয়ার প্রক্রিয়া এমনিতেই অনেক দীর্ঘ, সেই সাথে ভাষা বিষয়ক বাধ্যবাধকতা সেটিকে আরও জটিল করে তোলে।
রিভিউ প্যানেলটি অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ভ্রমণ করে ১৪০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি এবং ৭৫০টি সংস্থার সাথে পরামর্শ করে পর্যালোচনার জন্যে তথ্য সংগ্রহ করেছে।
তাদের আরেকটি সুপারিশ হচ্ছে, একটি মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স কমিশন এবং কমিশনার প্রতিষ্ঠা করা, পাশাপাশি মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপ নামে স্বতন্ত্র একটি মন্ত্রনালয় তৈরি, যার জন্যে থাকবেন আলাদা একজন মন্ত্রী।
এক বিবৃতিতে ডিপার্টমেন্ট অব হোম অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, সরকার ‘কমনওয়েলথের সব সংস্থা ও কার্যক্রম জুড়ে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে এই রিভিউয়ের পরামর্শমতন পরিবর্তন আনার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবে।‘
সরকার , কিন্তু তারা এখনো সুনির্দিষ্ট কোনো সুপারিশ গ্রহণ করেনি, এমনটা জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনির সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যান্ড্রু ইয়াকুবোভিচ।
এই রিভিউটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, অস্ট্রেলিয়ার মত এমন একটি সমাজ যা অনেকগুলো স্বতন্ত্র সংস্কৃতির সমন্বয়ে গঠিত, এখানে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই, বরং আরও অনেক কাজ করা বাকি।
সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারে ক্লিক করুন