করোনাভাইরাস সঙ্কট: জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলো ভিক্টোরিয়া ও এসিটি

ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়ায় আগত ভ্রমণকারীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের আইসোলেশন পিরিয়ড বলবৎ করতে পারবে।

Victorian Premier Daniel Andrews took aim at the homeowner flying the Nazi flag.

Victorian Premier Daniel Andrews Source: AAP

করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী হিসেবে ছড়িয়ে পড়ায় ভিক্টোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটোরিতে আজ সোমবার থেকে জরুরি অবস্থা (স্টেট অফ ইমার্জেন্সি) বলবৎ করা হবে।

হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং অ্যাক্ট-এর ক্ষমতা এর আগে কখনই ব্যবহার করা হয় নি। ভিক্টোরিয়ার প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ রিপোর্টারদেরকে আজ সোমবার বলেন, এখন এই আইনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ অস্ট্রেলিয়ায় আগত ভ্রমণকারীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের আইসোলেশন পিরিয়ড বলবৎ করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন রবিবার প্রথমে ঘোষণা দেন, বিদেশ থেকে আগত সবার জন্য দু’সপ্তাহের জন্য সেল্ফ-আইসোলেট বা নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখতে হবে। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক পর্যটন শিল্প বাধাগ্রস্ত হয়।
ভিক্টোরিয়াতে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে আজ দিনের মধ্যভাগ, দুপুর ১২টা থেকে। প্রাথমিকভাবে এটি চার সপ্তাহ কার্যকর থাকবে; তবে, এরপরও এটি বজায় রাখা হতে পারে বলেছেন প্রিমিয়ার ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ।

এই ঘোষণার ফলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা মানুষ-জনকে আটক করতে পারবেন, চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন এবং জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো স্থানে মানুষের প্রবেশ বন্ধ করতে পারবেন।

প্রিমিয়ার অ্যান্ড্রুজ বলেন,

“এসব ক্ষমতা এর আগে কখনও ব্যবহৃত হয় নি। এসবের মাধ্যমে, আমি আশা করি, এই গণস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থার প্রকৃতি সম্পর্কে আপনি সত্যিকারভাবেই একটি পরিষ্কার ধারণা পাবেন।”

স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কোনো নির্দেশনা মেনে চলতে ব্যর্থ হলে, এই ঘোষণা অনুসারে, ২০,০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

ভিক্টোরিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ কোভিড-১৯ পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত ৭১ জনকে পজিটিভ শনাক্ত করেছে। গত রাতেই সেখানে ১৯টি কেস সুনিশ্চিতভাবে ধরা পড়েছে।
Patients line up at the Royal Melbourne Hospital for Coronavirus testing.
Patients line up at the Royal Melbourne Hospital for Coronavirus testing. Source: AAP
ভিক্টোরিয়ার এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই এবিসি নিউজ রিপোর্ট করে যে, রবিবার সেখানে দ্বিতীয় ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর, এসিটি-এর চিফ মিনিস্টার অ্যান্ড্রু বার স্টেট অফ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করবেন।

সিডনিতে রবিবার সন্ধ্যায় ৭৭ ও ৯০ বছর বয়সী দুই বৃদ্ধা নারীর মৃত্যু হলে অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৫ এ উন্নীত হয়। অস্ট্রেলিয়া জুড়ে সুনিশ্চিতভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০০ পেরিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে ১৬২,০০০ এরও বেশি লোক সুনিশ্চিতভাবে এতে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৭৫,০০০ ব্যক্তি আরোগ্য লাভ করেছেন এবং ৬,০০০ এরও বেশি লোক মারা গেছেন।

করোনাভাইরাসের লক্ষণ, ফেডারাল সরকারের ওয়েবসাইট অনুসারে, হাল্কা অসুস্থ্যতা থেকে নিওমোনিয়ার মতো হতে পারে। এ ছাড়া জ্বর, কাশি, গলায় প্রদাহ, অবসাদ এবং শ্বাস-কষ্টও দেখা দিতে পারে।

যারা মনে করছেন যে, হয়তো এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরকে ডাক্তার কাছে না গিয়ে বরং ডেকে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিংবা তারা ন্যাশনাল করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইনে ফোন করতে পারেন এই নম্বরে: 1800 020 080.

With AAP




Share
Published 16 March 2020 4:47pm
Updated 18 March 2020 10:03am
By SBS News
Presented by Sikder Taher Ahmad
Source: SBS


Share this with family and friends