ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো সোমবার খুলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এতে বাংলাদেশে ঢুকবে একদিনে ১১ লাখ কিউসেক জল। অভিযোগ, ফারাক্কা বাঁধের ১০৯টি গেট খুলে দেওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশেও বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি ও পাহাড়ি ঢলের বিষয়ে আগে থেকে বাংলাদেশকে তথ্য দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, ভারতের যুক্তি, ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জলে ডেঞ্জার লেভেল পার করায় দৈনন্দিন জল ছাড়া হচ্ছে। বিহার থেকে জল ছেড়ে আসার কারণেই জল ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। যদিও বাকি সময়ে আপস্ট্রিমে (উজানে) জল যেমন থাকে সেই অনুযায়ী জল ছাড়া হয় ডাউনস্ট্রিমে (ভাটিতে)। ভারতের যুক্তি, বর্তমানে ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের থেকে জল ছাড়ার কারণে যেমন বাংলাদেশ প্লাবিত হচ্ছে ঠিক তেমনই পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ-সহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন চলছে। গঙ্গার জলস্তর বৃদ্ধি হতেই ১১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
ভারতের দিকে খবর, ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সুত্রের খবর, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টি হতেই ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের জলস্তর বৃদ্ধি হতেই সমস্ত গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিমাণ জল আসছে সেই পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই ৭৭.৩৪ ডেঞ্জার লেভেল অতিক্রম করেছে।
তবে ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার কারণেই বাংলাদেশ প্লাবিত হচ্ছে বলেই দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে জানিয়েছেন, যে হারে বৃষ্টি এখনো চলছে এখনো পাহাড়ি জল নামে নি। সেই জন্য ফেরার ক্যানালে জল কম রাখা হয়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ অ্যালার্ট রয়েছে, সবসময় নজর রেখেছে ফারাক্কার গঙ্গার উপরে। ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টা গেট খুলে না দিলে ব্রিজের ক্ষতি হতো এবং অনেক ডুবে যেত জলে, যার ফলে তাদের ফারাক্কা ব্রিজের উপরে প্রচণ্ড চাপ পড়তো।
এই মুহূর্তে ১০৯টা গেট না খুলে দিলে ব্রিজের বড়সড়ো ক্ষতি হতো বলে জানিয়েছেন ফারাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার আর দেশ পাণ্ডে। তিনি আরো বলেছেন, আপাতত ফিডার ক্যানেলে ৪০ হাজার কিউসেক ও ডাউনস্ট্রিমে ১১ লাখ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
এদিকে সোমবার ফারাক্কা বাঁধ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে জলের চাপ পড়েছে।